১০ অক্টোবর ২০২৫ , ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

ফ্রান্সে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে

ইউরোবার্তা ডেস্ক
আপলোড সময় : ০৭-১০-২০২৫
ফ্রান্সে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে ঘনিষ্ট মুহুর্তে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। এখন দুইজন দুই পথে/ ছবি সংগৃহীত

ফ্রান্সে নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান লেকর্নু মাত্র ২৬ দিন দায়িত্ব পালন করার পর ওই অবস্থার সৃষ্টি। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে দেশটির অভ্যন্তরে। অথচ দুইজন একে অপরের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ট ছিলেন। তাহলে কী এমন ঘটলো যেটা প্রধানমন্ত্রী মেনে নিতে পারলেন না? 
লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল ফ্রাঁসোয়া বায়রু সরকারের পতনের পর। বায়রু নিজেও মিশেল বার্নিয়ের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। লেকর্নু পদত্যাগ করেছেন তার ক্যাবিনেট প্রকাশের এক দিন পরে। নতুন ক্যাবিনেটটি মূলত বায়রুর আগের মতো ছিল, যা জাতীয় পরিষদের সব দলের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে।
 
 
ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো এক্ষুনি কোনো বিবৃতি দেবেন না। ফলে এখন দেশে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে রয়েছে।
 
ফ্রান্সের রাজনীতি জটিল হয়েছে জুলাই ২০২৪ থেকে, যখন ম্যাক্রোণ স্পর্শকালীন সংসদীয় নির্বাচন ডাকেন। ওই নির্বাচনে তার দল স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, ফলে সংসদ বিভক্ত হয়ে যায়। বিভিন্ন দলের মধ্যে ঐক্যমত নেই এবং তারা একসাথে কাজ করতে চাইছে না।
 
কয়েকটি দল আগেই নতুন নির্বাচন চাচ্ছে এবং কেউ কেউ ম্যাক্রোণের পদত্যাগও চাইছে। তবে তিনি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, তিনি ২০২৭ পর্যন্ত পদত্যাগ করবেন না।
 
হার্ড-রাইট নেত্রী মেরিন লে পেন বলেন, ‘এখন একমাত্র সঠিক উপায় হলো নির্বাচন। ফরাসিরা ক্লান্ত। ম্যাক্রোণ দেশকে কঠিন অবস্থায় ফেলেছেন।’
 
ম্যাক্রোণের হাতে তিনটি বিকল্প আছে – নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ, সংসদ পুনরায় বিলুপ্ত করা, অথবা নিজেই পদত্যাগ করা। সবচেয়ে সম্ভাব্য হলো নতুন নির্বাচন।
 
লেকর্নু, যিনি আগের অস্ত্রসেনা মন্ত্রী ছিলেন, ফ্রান্সের শেষ দুই বছরে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী। হোটেল দে মাটিগনন বাইরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থের কারণে কোনো সমঝোতা সম্ভব হচ্ছে না। সব দলই নিজেদের প্রোগ্রাম পুরোপুরি বাস্তবায়ন চাইছে।’
 
ফ্রান্সের রাজনীতির গভীর বিভাজনের কারণে যে কোনো প্রধানমন্ত্রী কার্যকরভাবে আইন পাশ করতে পারছে না। মিশেল বার্নিয়ের তিন মাসে পদত্যাগ করেন, তারপরে বায়রুর সরকার নয় মাসে নির্বাচনী বাজেট অস্বীকৃতির কারণে পতিত হয়।
 
 
২০২৪ সালে ফ্রান্সের ঘাটতি জিডিপির ৫.৮% পৌঁছায় এবং সরকারি ঋণ জিডিপির ১১৪%, যা ইউরোজোনে গ্রিস ও ইতালির পর তৃতীয়।
 
সংবাদ প্রকাশের পর প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারের দাম দ্রুত পড়ে যায়।


কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ